বিএনপির আন্দোলনের হুমকি বরাবরের মতোই হাস্যকর : তথ্যমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক:
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের হুমকি গতানুগতিক এবং বরাবরের মতোই হাস্যকর। এই দলটি (বিএনপি) আন্দোলনের নামে বিগত সাড়ে ১০ বছর ধরে একের-পর এক হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দলটি আইন মানে না, আদালতকেও সম্মান করে না। কারণ খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের হুমকি গতানুগতিক এবং বরাবরের মতোই হাস্যকর। এই দলটি (বিএনপি) আন্দোলনের নামে বিগত সাড়ে ১০ বছর ধরে একের-পর এক হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দলটি আইন মানে না, আদালতকেও সম্মান করে না। কারণ খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ক্যারিয়ার ফেয়ার-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়ার বিষয়টি সরকারের নয়, এটি আদালতের ব্যাপার। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অতিতের মতো আন্দোলনের নামে গতানুগতিক হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। তবে আদালত যদি জামিন দেয় তাহলে তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্তি পাবেন। এছাড়া অন্যকোন পথ খোলা নেই।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশে বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্য ও নেতা কারাগারে গেছেন, অনেকেই কারা ভোগ করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির শাসনামলে বিচার বিভাগ স্বাধীন ছিল না। তারা বিচার বিভাগকে অনেকটাই কোনঠাসা করে রেখেছিল।
এর আগে বক্তৃতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সার্বিক সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার।
ড. হাছান বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে বিগত ১০ বছরের দেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, তা আর কোন সরকারের আমলে হয়নি। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোড মডেল।
উন্নত দেশ গড়তে হলে উন্নত জাতি গঠন করা একান্ত প্রয়োজন এ কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এই দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্য-আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালে এই দেশ হবে বিশ্বের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ। সেলক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজও করে যাচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা হল জাতির মেরুদণ্ড। সারা পৃথিবীতে যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। এদেশের তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা হল আমাদের হাতিয়ার। তারাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে বদলে দিবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। শিক্ষা জীবন হল একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময়টাকে শিক্ষার্থীদের ভালভাবে কাজে লাগাতে হবে। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। কারণ আজকের শিক্ষার্থীই আগামী দিনে বড় হয়ে দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করবে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্বা লায়ন বেনজীর আহমেদ, সিটি ব্যাংকের চীফ রিস্ক অফিসার জাবেদ ইকবাল প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পরে তথ্যমন্ত্রী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ফিতা কেটে ন্যাশনাল ক্যারিয়ার ফেয়ার-২০১৯-এর উদ্বোধন করেন। এ সময় আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বাসস
কোন মন্তব্য নেই
আপনার মন্তব্য/মতামত প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।