প্রচারণার শেষদিনে রাঙ্গুনিয়ায় নৌকার পক্ষে স্মরণকালের বিশাল সমাবেশ
অনলাইন ডেস্ক:
প্রচারণার শেষদিনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশটি পরিণত হয় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের জনস্রোতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩টায় রাঙ্গুনিয়া পাইলট হাইস্কুল মাঠে ছিল সমাবেশটি। কিন্তু তার আগেই রাঙ্গুনিয়ার ১৫ ইউনিয়ন থেকে দলে দলে, মিছিল সহকারে লোকজন সমবেত হতে থাকে সমাবেশস্থলে। এসময় সবার চোখেমুখে উৎসব আর বিজয়ের আমেজ।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশটি পরিণত হয় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের জনস্রোতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩টায় রাঙ্গুনিয়া পাইলট হাইস্কুল মাঠে ছিল সমাবেশটি। কিন্তু তার আগেই রাঙ্গুনিয়ার ১৫ ইউনিয়ন থেকে দলে দলে, মিছিল সহকারে লোকজন সমবেত হতে থাকে সমাবেশস্থলে। এসময় সবার চোখেমুখে উৎসব আর বিজয়ের আমেজ।
আশপাশের এলাকা ছাড়িয়ে কাপ্তাই সড়ক, পূর্ব সৈয়দবাড়ি, চৌমুহনী, মরিয়মনগরের কাছাকাছি পর্যন্ত বিস্তৃত হয় জনস্রোত। গাছের ডালপালা, ভবনের ছাদ, উঁচু এলাকায়ও উৎসুক মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
জনস্রোত ঠেলে বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান রাঙ্গুনিয়ার মানুষের অভিভাবক, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ। পাঞ্জাবির উপর মুজিব কোর্ট পরা ড. হাছান মাহমুদকে এসময় বেশ সপ্রতিভ দেখাচ্ছিল। মঞ্চে উঠে তিনি হাত নাড়তেই জনস্রোতের অভিভাবদন আর মুহূর্মূহু করতালি অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি করে সমাবেশস্থলে। হাছান ভাই এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে; ৩০ তারিখ শুভ দিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন, জিতবে আবার নৌকা-নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জনসভা প্রাঙ্গণ।
প্রায় ৩০ মিনিটের বক্তৃতায় হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়াবাসীর সামনে গত ১০ বছরে বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য ১০টি বছর আমার দরজা খোলা ছিল। কে কোন দলের, কোন মতের তা দেখিনি। আমার কাছে যে এসেছে তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। যেখানে লিখে দেয়ার সেখানে লিখে দিয়েছি, যেখানে বলে দেয়ার সেখানে বলে দিয়েছি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ১০ বছরে রাঙ্গুনিয়ার ৪ হাজার যুবকের কর্মসংস্থান করেছি, আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। ক্যাবল কার আপনাদের দাবি ছিল না। রাঙ্গুনিয়ায় আমি সেটাও করে দিয়েছি। যা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম। আমি নিজেই বিদেশি গিয়ে ক্যাব কারে চড়েছি, আর এখন আপনাদের এলাকায় সারাদেশের মানুষ ক্যাবল কারে চড়তে আসছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন প্রায় শেষপর্যায়ে। আপনাদের সমর্থন পেলে আগামিতে বাকি উন্নয়নটুকু শেষ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে হাত দেবো। গ্রামকে শহরে পরিণত করবো, তারুণের শক্তিকে আরো বেশি করে কাজে লাগাবো। রাঙ্গুনিয়াকে গড়ে তুলবো বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নান্দনিক জনপদ হিসেবে। এজন্য সবার নিরঙ্কুশ সমর্থন, ভোট ও সহযোগিতা চান তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বজন কুমার তালুকদার, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, রাঙ্গুনিয়া পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুন্নুর সিকদার, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের মানবসম্পদক বিষয়ক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল ইসলাম প্রমুখ
কোন মন্তব্য নেই
আপনার মন্তব্য/মতামত প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।