রিজভীর বিচার ও ড. কামালের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন হাছান মাহমুদ
অনলাইন ডেস্ক:
২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা রায়ের পর রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আদালত অবমাননার দায়ে রিজভীর বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।
ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ। |
সোমবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ এ সব কথা বলেন।
'২১আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগই দায়ী' বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা রায়ের পর সর্বমহল কতৃক বিএনপি ধিকৃত, দেশের মানুষ যখন দলমত নির্বিশেষে বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার জানাচ্ছে এবং তাদের নেতৃত্ব পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে তখন তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারের রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা জাতির সাথে, যারা আহত ও নিহত হয়েছিল তাদের সাথে নির্মম মশকরা ছাড়া অন্য কিছু নয়। এছাড়া তার এই বক্তব্য অাদালত অবমাননার সামিল। আদালতকে অনুরোধ জানাবো আদালতের রায়ের পর রায় নিয়ে কটাক্ষ করায় তাকে বিচারের আওতায় আনা এবং শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বেগম জিয়া যুক্ত উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পিলখানায় ২৪ই ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গিয়ে পিলখানা বিডিয়ার সপ্তাহ উদ্বোধন করেন। দরবার হলে কখনো প্রধানমন্ত্রী থাকেন না। অথচ রিজভী আহম্মদ বলেছেন, দরবার হলে প্রধানমন্ত্রী থাকার কথা ছিল। প্রকৃতপক্ষে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রোয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সমস্ত ঘঠনা প্রবাহে বেগম খালেদা জিয়া যুক্ত ছিল। কেননা বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হয় সকাল ১০টার দিকে আর বেগম জিয়া কখনো দুপুর ১২টার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না কিন্তু সেদিন তিনি সকাল সাড়ে ৭টায় তার বাসভবন ত্যাগ করে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিরুদ্দেশ ছিলেন এবং সেদিন তার পুত্রের সাথে বহুবার ফোনে অালাপ হয়।
এরপর বিএনপির উস্কানিমূলক বক্তব্যসহ সবকিছু প্রমাণ করে এবং সাক্ষ্য দেয় পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বিএনপি ও বেগম জিয়া যুক্ত ছিল। সুতরাং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সাথে বেগম জিয়া ও বিএনপির যুক্ত থাকায় তাদেরও বিচার হওয়া প্রয়োজন।
ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ঐক্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২১ অাগস্ট গ্রেনেড হামলার পর ড. কামাল হোসেন একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন করে সেই তদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে বিএনপিকে ২১ অাগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন এবং দায়ী হিসেবে তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে উৎঘাটন করেছিলেন। আজকে বিএনপির সাথে তিনি যুক্ত হয়ে প্রকৃতপক্ষে যাদেরকে তিনি গ্রেনেড হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন সেই গ্রেনেড হামলাকারী, পেট্রোল বোমা হামলাকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সাথে যুক্ত জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে তিনি ঐক্য করেছেন। তিনি শুধু এটাই করেননি, তিনি কথায় কথায় বলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহকর্মী ছিলেন। অথচ যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করেন না, ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল আর ক্ষমতায় থাকাকালীন সকল রাষ্ট্রীয় যন্ত্র থেকে নির্বাসন দিয়েছিল তিনি তাদের সাথে ঐক্য করেছেন। এটি তার রাজনীতির চরম অধপতন ছাড়া অন্য কিছু নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপকমিটির সদস্য মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই
আপনার মন্তব্য/মতামত প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।