শিগগিরই গঠন করা হবে স্মল ক্যাপিটাল বোর্ড
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইকুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) এর প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। সম্প্রতি রাজধানীর বিএসইসি কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাতে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভিসিপিয়াব চেয়ারম্যান ও ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার শামীম আহসান।
বৈঠকে আইপিও’র মাধ্যমে স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানির ফান্ড বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করতে আগামী ১-২ মাসের মধ্যে স্মল ক্যাপিটাল বোর্ড গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। স্মল ক্যাপিটাল বোর্ডের সুপারিশ সাপেক্ষে একটি কোম্পানি সর্বনিম্ন পেইড-আপ ক্যাপিটাল ৫ কোটি টাকা থাকলেই আইপিও’র জন্য আবেদন করতে পারবে। কোম্পানিটি কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও) এর মাধ্যমে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা পেইড-আপ ক্যাপিটাল থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ফান্ড তৈরি করতে পারবে। আগে একটি কোম্পানিকে আইপিও’র জন্য আবেদন করতে হলে বিভিন্ন শর্তের পাশাপাশি ৩০ কোটি টাকা পেইড-আপ ক্যাপিটাল এবং ৩ বছর কোম্পানির লাভজনক অবস্থায় থাকা বাধ্যতামূলক ছিল।
বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানির জন্য কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের নীতিমালা বাস্তবায়নে পথে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমাদের দিক থেকে আমরা গেজেট প্রকাশ করেছি এবং বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটকে বৃদ্ধি করবে।
ভিসিপিয়াব চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, তরুণ উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা না থাকায় তাদের জন্য অ্যাক্সেস টু ফিন্যান্স সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। যেহেতু আইটি কোম্পানিগুলোর পেইড-আপ ক্যাপিটাল কম এবং লাভের চেয়ে কোম্পানির অগ্রগতির দিকে বেশি নজর থাকে, তাই এসব কোম্পানির জন্য আইপিওতে যাওয়া কঠিন। স্মল ক্যাপিটাল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোর টেকসই নির্গমন কৌশল থাকছে, যা তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরও লাভজনক করে তুলবে।
এ সময় বিএসইসি’র কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, এফসিএমএ, নির্বাহী পরিচালক হাসান মাহমুদ, পরিচালক মো. মাহমুদুল হক ও উপ-পরিচালক মো. এমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই
আপনার মন্তব্য/মতামত প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।