প্রখ‌্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জয়বাংলা নিউজ.নেটের উপদেষ্টা

ঢাকা প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের প্রখ‌্যাত চিকিৎসক ও স্বাস্থ‌্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও “ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলজি অব বাংলাদেশ” এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম‌্যান অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জয়বাংলা নিউজ.নেটের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস‌্য মনোনীত হয়েছেন।

প্রখ‌্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এর সংক্ষিপ্ত জীবনী: 

১। নাম: অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন
২। পিতা: মোঃ ইদ্রিছ মিয়া 
৩। স্থায়ী ঠিকানা: গ্রামঃ বেতুয়া, পোস্ট অফিস ও উপজেলাঃ দাগুনভূঁইয়া, জেলাঃ ফেনী ।
৪। বর্তমান ঠিকানা ও কর্মস্থল: পরিচালক, “ফাইলেরিয়া এন্ড জেনারেল হাসপাতাল“/ “থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল এন্ড ইনস্টিটিউট”/“ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলজি অব বাংলাদেশ”,  জিনজিরা, পোঃ ডেইরি ফার্ম, সাভার, ঢাকা-১৩৪১ । 
৫। শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিবিএস; এমফিল (মাইক্রোবায়োলজি)  (সিএমসি -১৫)
৬। পদবী: অধ্যাপক মাইক্রোবায়োলজি ও প্রাক্তন পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রন, স্বাস্থ্য  অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা ।    
৭। জন্ম তারিখ: ৩০/১১/১৯৫৩ ইং। 
৮। জাতীয়তা: বাংলাদেশী, ধর্মঃ ইসলাম, পেশাঃ চিকিৎসক । 
৯।টেলিফোন নং: অফিসঃ ০১৭৭২৫৪৪৪৬৯, বাসাঃ ০২-৮৮৩৪৬৫৯, মোবাইলঃ ০১৭১৫০৩৮৫৫১, ইমেইল: moazzem.iacib@gmail.com, iacib1995@gmail.com 
অধ‌্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন
সামাজিক অবস্থান ও পেশাগত কর্মকান্ডে সংক্ষিপ্ত বিবরণী: 
অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন পরিচালক, ফাইলেরিয়া এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, মাইক্রোবায়োলজি, ইমুনোলোজি ও বায়োটেকনোলজিতে বিশেষজ্ঞ । তিনি দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রন (১৯৯৯- ২০১০) ও পিজি হাসপাতাল ( বর্তমানে বিএসএমএমইউ- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকের বিশ্ববিদ্যালয় এর মাইক্রোবায়োলজি এর বিবিধ পদে কর্মরত / শিক্ষক (১৯৮৩- ১৯৯৭) ছিলেন । তাছাড়া তিনি জাপানে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে কাজ করেন।  দেশ থেকে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ/ নির্মূলে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান অপরিসীম, অতুলনীয় ও চির-অপ্রতিদন্ধী। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখায় ২০০৫ সালে লাইন ডাইরেক্টর সিডিসি এর পদ এবং এর অধিনে স্বতন্ত্র নতুন নতুন প্রকল্প / কর্মসূচি/ কার্যক্রমঃ (১) ফাইলেরিয়া, (২) কালাজ্বর, (৩) ম্যালেরিয়া (৪) বার্ড ফ্লু/ সোয়াইন ফ্লু (৫) ক্লাইমেট চেইঞ্জ / জলবায়ূ পরিবর্তন (৬) কৃমি নিয়ন্ত্রণ (৭) জলাতংক (৮) ইমারজিং -রি ইমারজিং রোগ (৯) সর্প দংশন ও চিকিৎসা (১০) হ্যান্ড ওয়াশ (১১) দুর্যোগ ইত্যাদি চালু করেন। অনেক ক্ষেত্রে ২০১০ সালের মধ্যে এসব রোগের মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসেন। যেমন ২০০৬ সালে ম্যালেরিয়া মৃত্যুর হার বছরে প্রায় ৭০০ জন ছিল, ডেঙ্গু মৃত্যুর হার ৯৩ জন ছিল। ফাইলেরিয়া নির্মূলে গবেষণা শেষে  তিনি ২০০১ সালে নতুন স্বতন্ত্র “ফাইলেরিয়া কর্মসূচি / প্রকল্প”  চালু করেন, একটানা ১০ বছর ২০১০ সাল পর্যন্ত তাহা বাস্তবায়ন করেন। ২০১১ সালে সরকার দেশ থেকে ফাইলেরিয়া নির্মূল ঘোষনা দেন। তিনি দেশে প্রথম ১৯৯৭ সালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে “ফাইলেরিয়া হাসপাতাল” ও ২০১২ সালে ঢাকা জেলার সাভারে “ফাইলেরিয়া এন্ড জেনারেল হাসপাতাল” নির্মান করেন। ফাইলেরিয়া নির্মূলে তাঁহার অবদান চির-অপ্রতিদন্ধী। তাছাড়া দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে ১৯৯০ সালে রোগ নিরুপনী নতুন স্বতন্ত্র মাইক্রোবায়োলজি ও বায়োকেমিষ্ট্রি বিভাগ চালু করেন। দেশ থেকে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ/ নির্মূলে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান বিবেচনায় ভারতের ন্যাশনাল একাডেমি অব ভেক্টরস তাঁহাকে “Vestergaard Frandsen Award-2011” প্রদান করেন।তাঁহার ১০০ এর অধিক প্রকাশনা আছে । ২০১০ সালে সরকারী চাকরী হইতে অবসর গ্রহনের পর থেকে তিনি বর্তমানে সাভারে “ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলজি অব বাংলাদেশ”, “ফাইলেরিয়া এন্ড জেনারেল হাসপাতাল”ও “থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল এন্ড ইনস্টিটিউট” পরিচালনা করছেন। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ থেকে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ/ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অয়োজিত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ সমুহের স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সভায় গন প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুরষ্কৃত করা হয়।


কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব‌্য/মতামত প্রদান করার জন‌্য ধন‌্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.