বারবার দলবদলের কারণে মান্নাকে যেন মানুষ ফোর টুয়েন্টি না ভাবে : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:
দলবদলের কারণে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে যেন জনগণ ফোরটুয়েন্টি না ভাবে সে প্রার্থনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে রাজনৈতিক সমালোচনায় ভব্যতা-ভদ্রতা বজায় রাখতে বিরোধী দলগুলোর রাজনীতিকদের প্রতি অনুরোধ জানান আওয়ামী লীগের এই প্রচার সম্পাদক ।
রোববার দুপুরে ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ‘ফোর-টুয়েন্টি বাজেট’ বলার বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি করতেন মাহমুদুর রহমান মান্না, তার কাছে এমন অশোভন বক্তব্য আশা করিনি। সমালোচনার মধ্যেও ভদ্রতা-ভব্যতা থাকতে হয়। অবশ্যই সমালোচনা থাকবে। তিনি যে ভাষায় সমালোচনা করেছেন, আমি আশা করব বারবার দল বদলের কারণে তাকে যেন জনগণ ‘ফোর-টুয়েন্টি রাজনীতিবিদ’ না ভাবেন
মন্ত্রী বলেন, তিনি বলেন, অবশ্যই সব কিছুর সমালোচনা থাকতে হবে। আমরা যুক্তি-তর্কভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় বসবাস করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করেন।
‘সমগ্র বিশ্ব বলছে, বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে আর গত ১০ বছর ধরে সিপিডি ও বিএনপি একই বক্তব্য, গৎবাঁধা সমালোচনা করে আসছে। সিপিডি‘র গবেষণা কি বিশ্বব্যাংকের চেয়েও ভালো! গত বছর তো বিএনপি বাজেট দেবার আগেই প্রতিক্রিয়া দিয়ে দিয়েছিল, এবছর অবশ্য পরে দিয়েছে। এমন নিরর্থক সমালোচনা না করে আমি তাদের বলব, অবশ্যই সমালোচনা করবেন। কিন্তু তা হতে হবে গঠনমূলক।  রাজনৈতিক সমালোচনায় ভব্যতা-ভদ্রতা বজায় রাখা উচিত।’ যোগ করেন মন্ত্রী।
প্রতি বাজেটের পর বিএনপি এবং সিপিডি গৎবাঁধা একই সমালোচনা করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, তারা ঘুরেফিরে তিনটি কথা বলে। তারা বলে, বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়, উচ্চাভিলাষী এবং গণমুখী নয়, এটি দরিদ্র মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না- এসব কথাই তারা গত দশ বছর ধরে বলে আসছে।’
‘অথচ গত ১০ বছরে দেশে মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২০০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে আড়াইগুণ।বাজেটে ভুল থাকলে মাথাপিছু আয় তিনগুণ কী করে হলো? কীভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হলো?’ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
এবছরের বাজেট কেমন, তা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট একটি চমৎকার বাজেট। এটি শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট, যাতে কর্মসংস্থান ও করদাতার সংখ্যা বাড়বে।’
এসময় ‘গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে যাবে গণফোরাম’ এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি গণফোরাম সভাপতিকে বলব, তার নিজের দলের ঐক্যই আগে ধরে রাখার চেষ্টা করতে, কারণ অনেকেই সেখান থেকে চলে যাচ্ছে। তার দলই যদি ঠিক না থাকে, আন্দোলন করবেন কিভাবে!”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, ডিবিসি২৪ টিভি চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব‌্য/মতামত প্রদান করার জন‌্য ধন‌্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.