সময়ের আগেই তৈরী ৩ সেতু, বরাদ্দের ৭০০ কোটি টাকা ফেরত দিল জাপানিরা

অনলাইন ডেস্ক:

নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলাদেশের তিন সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হতে যাচ্ছে। যেটা সর্বশেষ হয়েছিলো ১৯৯৫ সালে। এর পরে বাংলাদেশে আর কোনো নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারেনি কেউ। ২০১৯ সালে এসে নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই শেষ হচ্ছে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজ।
শুধু তাই নয়, এই তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য যে টাকা বরাদ্দ ছিল, সেই অর্থের চেয়েও কম খরচে নির্মাণ কাজ শেষ করেছে নির্মাণকারী জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে প্রকল্পের পুরো কাজ এখনই শেষ হচ্ছে না।
শুধু সেতুই নয়, তার সঙ্গে নেয়া হয় আরো আনুষঙ্গিক প্রকল্প। কাঁচপুর সেতু ৪০০ মিটার, এর সঙ্গে ৭০০ মিটার দীর্ঘ ৮ লেন বিশিষ্ট এপ্রোচ সড়ক। মেঘনা সেতু ৯৩০ মিটার, সঙ্গে ৮৭০ মিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এপ্রোচ সড়ক। গোমতী সেতু ১৪১০ মিটার, সঙ্গে ১০১০ মিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এপ্রোচ সড়ক।
সমস্ত কাজগুলির ব্যয় অনুমোদন হয় ৮,৪৮৬ কোটি টাকা। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্তে নির্মাণ কাজ পেয়েছিল জাপানের তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ওবায়শি করপোরেশন, সিমিজু করপোরেশন এবং জে এফ ই ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।
বিশ্বাস করতেও অবাক লাগে, কাঁচপুর সেতু নির্ধারিত সময়ের নয় মাস আগে, আর মেঘনা ও গোমতী সেতুসহ আনুষঙ্গিক সব নির্মাণ কাজ সাত মাস আগে শেষ করেছে।
সবচাইতে অবাক ঘটনা এই প্রথম বাংলাদেশ সরকার ফেরত পেয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮৪৮৬ কোটি টাকা লাগেনি। টাকা খরচ হয়েছে ৭৭৮৬ কোটি টাকা।




জাপানি তিন কোম্পানি শুধু কাজই বুঝিয়ে দিল না সঙ্গে ৭০০ কোটি টাকা ফেরত দিয়ে দিল। এই হল ওদের সততা।
জাপানি তিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয় ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর। কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে গাড়ি চলবে। কাঁচপুর চালু হয়েছে মার্চ মাস থেকে আর মেঘনা-গোমতী সেতু চালু হবে ২৫ মে থেকে।

কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব‌্য/মতামত প্রদান করার জন‌্য ধন‌্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.