অনলাইন গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:
দেশে এখন অনলাইনগুলোর কোন রেজিস্ট্রেশন নেই উল্লেখ্য তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন। এজন্য আমরা সহসাই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবো। এর পাশাপাশি অনলাইন নীতিমালার কাজও চলছে।
বাংলা ট্রিবিউনের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন তথ‌্যমন্ত্রীড. হাছান মাহমুদ এমপি
বুধবার (২২ মে) বিকালে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অনলাইনগুলোর রেজিস্ট্রেশন চালু করবো।। এর জন্য কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলো করার পর রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমরা অনলাইনের রেজিস্ট্রেশন খুব সহসাই শুরু করবো এবং এটা খুব দেখে শুনে দেওয়া হবে। এখানে শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন। অনেকেই একটা অনলাইন খুলে কয়েকজনকে সাংবাদিক কার্ড দিয়ে দেয় এবং অনলাইনটিকে ভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। এজন্য অনলাইনের একটি রেজিস্ট্রেশন থাকা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম এখন পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছে, মানুষের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ দিতে গিয়ে যা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা হারিয়ে যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে ভুল সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন ইচ্ছে করে কিছু সংবাদ পরিবেশন করে, যার মাধ্যমে তাদের পরিচিতি পায়। আমাদের এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। সেজন্য অনলাইন নীতিমালা করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে তা করেছি কিন্তু এটাকে আইনে রূপান্তরিত করতে হবে। আইনে রূপান্তরের কাজটি চলছে, কিন্তু গণমাধ্যম নিয়ে আইন তৈরি করা অন্য যেকোনও আইন তৈরির থেকে ব্যতিক্রম। অন্য আইন তৈরি করতে সবার সঙ্গে আলোচনা সবসময় খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। এজন্য আমাদের ধীরে এগুতে হচ্ছে। তারপরও আমরা খুব দ্রুত এটি করার জন্য চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আইনটি তৈরি করতে পারবো।
বাংলাদেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করে উল্লেখপূর্বক হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা ভোগ করে তা অন্য দেশের গণমাধ্যম করে না। এরপরও নানা ধরনের প্রতিকূলতা আছে। সরকারের পক্ষ থেকে না থাকলেও অনেকের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিকূলতা তৈরি হয়। আমি প্রথম থেকেই চেষ্টা করছি গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং এখানে যেন একটি স্বাস্থ্যকর অবস্থা বিরাজ করে।
এ সময় বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নিয়মিত কর্মীদের দেওয়ার জন্য বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদকে ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা ট্রিবিউনের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী আমিনা আহমেদ, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, সম্পাদক জুলফিকার রাসেল প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব‌্য/মতামত প্রদান করার জন‌্য ধন‌্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.