আপন ক্যাম্পাসে আবেগ-আপ্লুত তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:
৩২ বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে বেরিয়েছিলেন আজকের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একসময় যিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তিনি আজ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছেন প্রধান অতিথি হয়ে। তাই স্বভাবতই রসায়ন বিভাগের সুবর্ণজয়ন্ত্রী অনুষ্ঠানে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন তথ্যমন্ত্রী। কড়া নাড়েন স্মৃতির দরজায়। তাঁর মুখ থেকে এক এক করে বেরিয়ে আসতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন অনেক স্মৃতি, না জানা গল্প।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় অনেক ব্যস্ততা সত্ত্বেও আমি এখানে উপস্থিত হওয়ায় আয়োজকরা আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আমি তাঁদের বলবো, আমার দাপ্তরিক ব্যস্ততা, রাজনৈতিক ব্যস্ততা, রাষ্ট্রীয় কর্মব্যস্ততা আছে বটে। এরপরও আমি বলবো, আমার প্রাণের ক্যাম্পাস, ভালোবাসার ক্যাম্পাস আমার কাছে সর্বাগ্রে। তাই এখানে আসার জন্য আমি নিজেই উদগ্রীব ছিলাম, ব্যাকুল ছিলাম।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগেও সরকারের মন্ত্রী থাকাকালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার আসা হয়েছে। কিন্তু আজ সরাসরি আমার নিজের বিভাগেই (রসায়ন) আসা, যে বিভাগে আমি পড়েছি, তারুণ্যশক্তিতে দাপিয়ে বেড়িয়েছি। কাজেই আজকের আসার মাহাত্ম্য আমার কাছে সবিশেষ।

চবি ক্যাম্পাসের নান্দনিকতার বর্ণণা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ছোট ছোট পাহাড়, লেক, বিস্তৃত সবুজ, গাছ-গাছালি এমন পরিবেশের বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীতে খুব কমই আছে। বিশ্বের অনেক নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার যাবার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু এমন মনকড়া, নজরকাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আমি কোথাও পাইনি, দেখিনি। আয়তনগত দিক দিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে নতুন নতুন যেসব জেলা হচ্ছে সেসব জেলার চেয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয় বড়, বিস্তৃত। বলেন, ড. হাছান মাহমুদ। এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত করনেল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে তুলনা করেন মন্ত্রী।
নিজের ডিপার্টমেন্টের একটি ভবনের রঙ তথ্যমন্ত্রীর অনেক পছন্দ ছিল। স্বভাবতই তিনি রঙ, ফুল পছন্দ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেই প্রিয় রঙ-এর ভবনটি খুঁজতে থাকেন মন্ত্রী। কিন্তু খুঁজে পান না। উপাচার্যকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, এই তো ভবনটি। ভবন আছে, প্রিয় রঙ নেই।
এ প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন-অবকাঠামো হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমি অনুরোধ করবো পরিবেশের নান্দনিকতা বজায় রেখে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজ করা হয়। এ ব্যাপারে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণেরও অনুরোধ জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রীর পুরো বক্তৃতায় ছিল তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ, শিক্ষক ও ঘনিষ্ঠ সহপাঠীদের গল্প। এসময় তিনি কয়েকজন প্রিয় শিক্ষক ও সহপাঠীদের স্মরণ করেন, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।  দুদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম।

কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব‌্য/মতামত প্রদান করার জন‌্য ধন‌্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.