ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে তারা জিতলো কীভাবে : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন যারা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলো, তারাও-তো ভিপিসহ অন্যান্য পদে জিতেছে। আমার প্রশ্ন, ডাকসুর নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে তারা জিতলো কীভাবে?
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ প্রশ্ন রাখেন।

তিনি বলেন, নেতৃত্বের বিকাশের জন্য ছাত্রসংসদের কোনো বিকল্প নেই। আমি আজকে এ অবস্থায় আসতে পারতাম না যদি, স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা না থাকতো। এসব পর্যায় নেতৃত বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমি আশা করবো, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও যেনো চাকসুর নির্বাচন হয়।
ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। সেখানকার প্রশাসন কিছু ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে। সেটি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। যারা নির্বাচনের বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল তারাও-তো জয়লাভ করলো।
‘বর্তমানে ছাত্ররা কেউ কম্পিউটার সায়েন্স কেউ ব্যবসায় প্রশাসন আর কেউ আইন বিষয়ে পড়তে চায়। বিজ্ঞানের ছাত্র হতে চায় কম। কিন্তু আমাদের মা-বাবাদের সময় যারা ভালো ছাত্র ছিলেন-তারা ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি পড়তে চাইতেন। এ জন্য এখন গবেষণা কমে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণ করে গবেষণার উপর। আমেরিকার কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে এতো গবেষণা হয়, সেখান থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৮০-র দশকে মালয়েশিয়ার ছাত্ররা আমাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পড়তে আসতো। এখন আমাদের ছেলেরা সেখানে পড়তে যায়। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছতো বাংলাদেশ। এরপরও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে উন্নয়নে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
‘তার নেতৃত্বে সব সূচকে পাকিস্তান থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ২৪ বিলিয়ন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় প্রায় ১ হাজার ৮০০ ডলার আর পাকিস্তানের ১ হাজার ৬৪০ ডলার। বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৮ বছর সেখানে পাকিস্তানে ৬৮ বছর,’ যোগ করেন তিনি।
দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ১০ বছর আগে যে ছেলে বিদেশ গেছে, সে ছেলে দেশে এসে তার শহর ও গ্রাম চিনতে পারে না। কারণ সবকিছুতে উন্নয়ন হয়েছে, আগের চিত্র বদলে গেছে। এ পরিবর্তন শেখ হাসিনার কারণে হয়েছে।
চবিতে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে যেন প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানায়। 
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমেরিকান কর্নেল ইউনিভার্সিটির মিল আছে। ওই ইউনিভার্সিটিও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড়। এখানকার মতো সেখানেও পাহাড় ও প্রচুর গাছপালা আছে। দেশের অন্য কোনো ক্যাম্পাস প্রাকৃতিকভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এতো সুন্দর নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পার হয়েছে। আরও শত শত বছর টিকে থাকবে। এই প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন, যেকোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করার ক্ষেত্রে যেনো প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক রেখে করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীসহ বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব‌্য/মতামত প্রদান করার জন‌্য ধন‌্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.