ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
অনলাইন ডেস্ক:
মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
শহীদ বেদীতে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র কামাল মোস্তফা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের পক্ষ থেকে বিরোধী দলীয় উপ নেতা গোলাম মুহম্মদ কাদের ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ও নৌ-বাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার বাংলাদেশের প্রধানগণ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইউনেস্কো ২০১৯ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব ইনডিজিনাস ল্যাঙ্গুয়েজেস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া এ বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘ইনডিজিনাস ল্যাঙ্গুয়েজেস ম্যাটার ফর ডেভলপমেন্ট, পিস বিল্ডিং অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন’, যা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও কৃষ্টি সংরক্ষণে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই
আপনার মন্তব্য/মতামত প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।