বিদ্রোহীরা আজীবন বহিস্কৃত হবেন

অনলাইন ডেস্ক:

আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কেউ বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুখ দেখে নয় প্রত্যেকের আমলনামা অনুযায়ী মনোনয়ন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ, সংসদীয় দল এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। 
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এ বিষয়ে গতরাতে আমাদের সময়কে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের সময় যে কোনো জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ৩৩ সদস্যের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও এই কমিটির অধীনস্থ ১৫টি সাব-কমিটিকে মনিটরিং করবে ও নির্দেশনা দেবে কোর কমিটি। কোর কমিটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কো-চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, সদস্য সচিব আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কোর কমিটির অন্যতম চমক হিসেবে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। দলের সভাপতিমণ্ডলী সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে বেছে বেছে কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে। দলের চারজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই কমিটিতে রয়েছেন। অন্যদের মধ্যে শেখ হেলালউদ্দীন এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ১৫টি কোর কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা উপকমিটিতে রয়েছেন আব্দুল মোবারক ও আজমতউল্লাহ খান; লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট উপকমিটিতে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও শ ম রেজাউল করিম; তথ্য উপকমিটিতে খন্দকার বজলুল হক ও আফজাল হোসেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক উপকমিটিতে ড. গওহর রিজভী ও ডা. দীপু মনি; পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কমিটিতে সাবের হোসেন চৌধুরী ও দীপু মনি; প্রচার উপকমিটিতে ড. হাছান মাহমুদ ও আমিনুল ইসলাম আমিন; মিডিয়া উপকমিটিতে আসাদুজ্জামান নূর ও কাসেম হুমায়ুন; পেশাজীবী সমন্বয় উপকমিটিতে মসিউর রহমান ও ডা. রোকেয়া সুলতানা; আইটি উপকমিটিতে মোস্তাফা জব্বার ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর; বিদেশি মিশন ও সংস্থা সমন্বয় উপকমিটিতে অ্যাম্বাসাডর মোহাম্মদ জমির ও ড. শাম্মী আহমেদ; সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া উপকমিটিতে মির্জা জলিল ও অসীম কুমার উকিল; অর্থ উপকমিটিতে কাজী আকরামউদ্দীন ও টিপু মুন্সী যথাক্রমে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।
বৈঠক শেষে উপস্থিত এমপিদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলে তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, সালাম নিলেই মনে করবে না মনোনয়ন নিশ্চিত। কে কী করেছে আমি সব জানি। মনোনয়ন কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতাদের বলেন, তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাদের বলেন জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামকে এক করে দেখার সুযোগ নেই। এই দুই ধর্মভিত্তিক শক্তিকে এক করে বক্তৃতা-বিবৃতি না দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী ও মিত্রদেরও এটি মেনে চলার আহ্বান জানান। ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে এই বিষয়টি শরিক দলের নেতাদের জানিয়ে দেওয়ারও নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। 

কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব‌্য/মতামত প্রদান করার জন‌্য ধন‌্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.