মহাকাশ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হবে চীন
খুব শিগগির মহাকাশ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপের পর্যায়ে যেতে সক্ষম হবে চীন। সম্প্রতি চীনের তিনজন নভোচারী নিয়ে মহাকাশ যান মহাকাশে স্থাপিত একটি গবেষণাগারে অবতরণ করেছে। সেখানে তারা দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন। এটিই হবে কোনো নভোচারীকে নিয়ে চীনা মহাকাশ যানের দীর্ঘতম অভিযান। চীন যে ক্রমশই মহাকাশে তাদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছে সর্বশেষ এই অভিযান তারই একটি উদাহরণ। চীনা মহাকাশ প্রকল্পের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ল্যাবরেটরিতে তারা বেশ কিছু পরীক্ষা চালাবেন এবং পৃথিবীতে ফিরে আসার পর, শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরবেন। নভোচারী বহনকারী মহাকাশ যান চীন প্রথম পাঠিয়েছিলো ২০০৩ সালে। তারপর গত দশ বছরে নভোচারীদের নিয়ে চীন আরো চারটি যান মহাকাশে পাঠিয়েছে।
রুশ ও মার্কিন নভোচারীরা বিংশ শতাব্দীর ৬০ ও ৭০ এর দশকে যা করেছেন তা নতুন করে পরীক্ষা করবেন চীনের নভোচারীরা। এর একটি হচ্ছে মহাকাশে বসবাসের উপায় নিয়ে গবেষণা করা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষ বলেন, চীন ১০ বছরের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপের পর্যায়ে চলে যাবে। মহাকাশ অভিযানের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করার কারণ হচ্ছে এর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনাকারী দেশগুলো প্রযুক্তিতে অন্য দেশের চেয়ে অনেক অগ্রগতি অর্জন করে। মহাকাশ প্রযুক্তি সামরিক বাহিনীতেও ব্যবহার করা যায়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও জাপানের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মতোই চীনের মহাকাশ গবেষণাগার আছে। এটি ২০২০ সাল পর্যন্ত মহাকাশে থাকবে।
☛ ফাহমিদা জেবীন নীতু
কোন মন্তব্য নেই
আপনার মন্তব্য/মতামত প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।