কদিন পর পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হলে শেখ হাসিনাকে সময় দিতে হবে। অব্যাহতভাবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যদি বাংলাদেশের জনগণ তাকে দেন তাহলে কয়দিন পরেই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের বদলে যাবার গল্প কেউ শুনবে না। পৃথিবীর মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ৪২ বছর পরও আমরা সেই রেকর্ড করা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারিনি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেটি অতিক্রম করতে পেরেছে। এখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৮ শতাংশ। 
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জহির আহমদ চৌধুরী, স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, সাদেকুন নুর সিকদার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আরজু সিকদার।
অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোহাম্মদ সেলিম, গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, ইকবাল হোসেন, আকতার হোসেন খাঁন, মুজিবুল ইসলাম সরফী, জসিম উদ্দিন তালুকদার, নিজাম উদ্দিন বাদশা, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাস্টার আসলাম খাঁন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন রিয়াজ, ছাত্রলীগ সভাপতি নুরুল আলম, তাঁতী লীগ আহবায়ক মোরশেদ তালুকদার প্রমুখ। 
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। যে বছর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সেবছর ২৬ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছিল। খাদ্য ঘাটতি কাটিয়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সংকট কাটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যদি তখন হত্যা করা না হতো তাহলে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে নাম লেখাতে সক্ষম হতো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত রাষ্ট্র রচনা করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত হয়েছে। মানুষের তিনটি মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র বাসস্থান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্নের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন সন্ধ্যার পর বাসি ভাত খোঁজা ভিক্ষুকের ডাক শোনা যায় না। বস্ত্রের সমস্যার সমাধানও হয়েছে। আগে ছেড়া কাপড় পড়া মানুষ দেখা যেত, এখন তা দেখা যায় না। আগে বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় আসতো সেটা হকার মার্কেট থেকে কিনে মানুষ পড়তো। আর এখন বাংলাদেশ থেকে সেলাই করা নতুন কাপড় বিদেশে যায়, সেগুলো সেখানকার বড় বড় শপিংমলে বিক্রি হয়। আর বাসস্থান ছাড়া দেশে এখন কোনো মানুষ নেই।

কোন মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব‌্য/মতামত প্রদান করার জন‌্য ধন‌্যবাদ।
জয়বাংলা নিউজ.নেট।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.